
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুরে ঢাকা উদ্যানে বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে যায় স্কুলছাত্র মহসিন। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। পরে সন্ধ্যায় চান মিয়া হাউজিং সোসাইটিতে রাস্তার পাশে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল মহসিন। সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তা ওপর হামলা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয় আরও একজন। বাকবিতণ্ডা
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, যখন ছেলেটিকে নিয়ে যায় তখন সে বেশ আহত হয়েছিল। আমাদের এলাকার ছেলেরা কর্মজীবী এদের আড্ডা দেওয়ার সময় নাই। বাহিরের কিছু ছেলে-পেলে এসে আড্ডা দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এদিকে, মহসিন হত্যার বিচার চেয়েছেন মা। তিনি বলেন, আমার ছেলে মেরে ফেলেছে। আমি জানের বদলে জান চাই। আমি বাবার বিচার চাই। আমার বাবারে কেন মারলো? কী অপরাধ করছে সে?
পুলিশ জানায় প্রেম সংক্রান্ত জটিলতা এবং পূর্ব বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। হামলাকারীরা মহসিনের পূর্বপরিচিত বলেও জানায় পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানা ওসি গণেশ গোপাল বিশ্বাস বলেন, আসামীরা এসে তাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এক পর্যায় স্থানীয় লোকজনেরা তাকে সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানেই সে মারা যায়।
অন্যদিকে র্যাবের দাবি, নিহত মহসিন আতঙ্ক নামের কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
র্যাব ২ এর লিও মোহাম্মদ মহীউদ্দিন ফারুকী বলেন, আতঙ্ক গ্রুপ নামে একটা গ্রুপ আর রায়ের বাজার থেকে আসছে। তাদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব হয়েছে আধিপত্যকে বিস্তার করে। যে কারণে মহসীন নামে একটি ছেলেকে মার্ডার করে।
সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং ধরা পড়লেও এখনো কিছু গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে বলে জানায় র্যাব।