
বলিউডের সেরা নায়িকাদের অন্যতম বিদ্যা বালান। বাণিজ্যিক ছবির চেয়ে ভিন্ন ধারার ছবিতেই তিনি অভিনয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। ‘বেগমজান’ মুভিটির পর এবার তার নতুন মুভি ‘মিশন মঙ্গল’। কথায় বলে, চল্লিশে জীবন শুরু হয়। এই বয়সে এসে জীবনকে কী ভাবে দেখছেন বিদ্যা? কলকাতার একটি শীর্ষ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিদ্যা জানান, জীবন আগের চেয়ে অনেক বেশি উপভোগ করছেন তিনি। বয়স ও অভিজ্ঞতা শিখিয়েছে, নিজের ওপর ভরসা না হারাতে।
চল্লিশ পার হওয়া মানে মেয়েদের মিডলাইফ ক্রাইসিসের শুরু। একসময় মেনোপজ হয়। যৌন জীবনের ইতি। যে কারণে স্বামীরাও একই সমস্যায় ভুগে। মিড লাইফ ক্রাইসিস সম্পর্কে বিদ্যা মজা করেই বলেন, ‘এটা তো ছেলেদের হয়। আমাদের প্রত্যেক মাসে ক্রাইসিস আসে। মেয়েদের মিড লাইফ ক্রাইসিস শুরু হয় মেনোপজের সময় থেকে। তবে এখন সকলে খোলাখুলি কথা বলেন। কয়েক বছর আগেও বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। আমার এক মাসি ছিলেন, তার মেনোপজের সময় সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু ওই বিষয়ে কথাবার্তা হয়নি।’
মা হওয়ার গুজবের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বিদ্যা বলেন, ‘যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের নেহাতই বোকা বলব। আমি কি কোনও দিন রোগা ছিলাম? একটু পেট দেখা গেলেই সকলে ভাবেন, আমি প্রেগন্যান্ট। সে ভাবে দেখলে আমি সারা জীবনই প্রেগন্যান্ট।’
নায়িকাদের জিরো ফিগার বা মেদহীন শরীরের উপরে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ধারণা তো বরাবরের। পুরুষদের অল্পবয়সী মেয়ে পছন্দ। আগে ৩৫ বছর বয়সে দুই-তিনটি বাচ্চার মা হয়ে সংসারে ব্যস্ত হয়ে যেতেন বেশির ভাগ নারী। এখন মেয়েরা পড়াশোনাই করে অনেকদিন ধরে। তার পরে দেরিতে বিয়ে, বাচ্চাও প্ল্যান করে সুবিধেমতো। কেউ কেউ বাচ্চা চায়ও না। কয়েক বছর হলো, নিজের ফিগার নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছি। তার পর থেকে আই ফিল সেক্সি অল দা টাইম।