
পাত্র অপছন্দ হওয়ার জেরে জামাইকে মেনে না নেয়ার ঘটনা অহরহ ঘটে। আবার মেয়ে যদি কারো হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলেও যায়, তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে নানা জায়গায় খোঁজ নেয়া হয়।
কিন্তু পাশের বাড়ির কুকুরের সঙ্গে নিজের বাড়ির কুকুরে মেলামেশার কারণে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার খবর কখনো শুনেছেন? কিন্তু এ ধরনের ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে।
ভারতের কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের চক্কাই এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সম্প্রতি মালিকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাড়ার এক ছোকরা কুকুরের সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুন্দরী পোমেরানিয়ান কুকুরটি। যা মেনে নেননি তার মালিক। রেগেমেগে কুকুরটিকে বাড়ি থেকেই বের করে দিয়েছেন তার মালিক।
সম্প্রতি চক্কাইয়ের ওয়ার্ল্ড মার্কেট রোডের উপরে পাওয়া যায় বছর তিনেকের কুকুরটিকে। পিপলস ফর অ্যানিমাল (পিএফএ)–র এক স্বেচ্ছাসেবী সাদা লোমশ সারমেয়টিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নিজেদের আস্তানায়।
শামিম নামে ওই উদ্ধারকারী জানান, ওই কুকুরটির গলায় ঝুলছিল মালিকের লেখা একটি চিঠি। তাতে লেখা ছিল,সে খুবই ভালো কুকুর। স্বভাব ভালো। প্রচুর খাবার লাগে, এমনটাও নয়। কোনো অসুখ নেই। শুধু সপ্তাহে পাঁচ দিন অন্তর গোসল করাতে হয়। গত তিন বছরে কাউকে কামড়ানোর রেকর্ড নেই। দুধ, বিস্কুট আর ডিম খায়।
তার সঙ্গে লেখা রয়েছে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কারণও। জানানো হয়েছে, প্রতিবেশী কুকুরের সঙ্গে ‘অবৈধ’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
এই কান্ডে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমীদের একাংশ। কারো মতে, প্রজনন ঋতুতে সারমেয়দের এমন ব্যবহার অত্যন্ত স্বাভাবিক। যদি তার মালিক কুকুরটির প্রজনন আটকাতে চাইতেন, তাহলে কুকুরটির বন্ধ্যাত্বকরণের চিকিৎসা করাতে পারতেন। আর যদি সারমেয়টির কৌমার্য্য রক্ষাই মূল উদ্দেশ্য হত, ঘরে আটকে রাখা উচিত ছিল সেক্ষেত্রে।
শামিম জানান, সাধারণত অসুস্থ বা আহত সারমেয়দেরই রাস্তায় ফেলে যেতে দেখেছেন তিনি। তবে এমন অদ্ভূত কারণে সারমেয়কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা বিরল। কুকুরটি বেশ মিষ্টি। খুব শিগগিরই কেউ না কেউ সারমেয়টিকে দত্তক নিয়ে নেবেন এ ব্যাপারে শামিম নিশ্চিত।